সকাল সারাদিনের পূর্বাভাস দেয়। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট করা ঠিক কতটা কঠিন যদি আজ ভারত বা সাউথ আফ্রিকার কোনো ব্যাটারকে জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে তারা সঠিকভাবে বলতে পারবেন। টস জিতে সাউথ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করার সিধান্ত নেয়। আর সেটা যে কতটা আত্মঘাতী সিধান্ত ছিলো তা স্কোরকার্ড দেখলেই বোঝা যায়। সকালের শুরুতে সিরাজ যেন আগুন ঝরাতে শুরু করেন। প্রথম সাত উইকেটের ভিতর ছয়টিই নিয়ে সাউথ আফ্রিকার ইনিংস একবারে ধসিয়ে দিয়েছেন। ২৩ ওভার দুই বলে ৫৫ রানে সব উইকেট হারিয়ে সলিল সায়রে আত্মহুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। মাত্র দুইজন ব্যাটার দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন।
অন্য দিকে ভারতীয় ব্যাটাররাও তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। শুরুতে জয়সালের উইকেট হারালেও রোহিত শর্মা ও শুভম্যান গিল মিলে ভালোই করেছে। পরবর্তীতে ভিরাট কোহলিও ভালো করেছেন। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৪ দুরে তেকে আউট হন।
এরপরই যেন ইন্ডিয়ার ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙে চুরমার হয়েছে। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, নাদ্রি বার্গার -এর গোলার সামনে একে একে ভারতীয় ব্যাটাররা উইকেট দিয়ে গেছেন। সবমিলিয়ে ভারতীয় ছয় ব্যাটার ০ (শূন্য) রানে আউট হয়েছে। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি। এর আগে কখনো এইভাবে এক ইনিংসে ৬ ব্যাটার ০ রানে আউট হয়েছেন কিনা জানতে ক্রিকেট ইুতহাস নিয়ে বসতে হবে।
ভাবছেন এখানেই শেষ, না! এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা আবার ব্যাটে নামে, তবে এবার কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে। ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৬২। এবার এইডেন মার্করাম সাবধানী শুরু করেছেন। মুকেশ কুমার ২ উইকেট নিয়েছেন আর বাকিটা জসপ্রিত ভুমরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট এবং ইন্ডিয়ার ১০ টি মিলিয়ে মোট ২৩ টি উইকেট নিয়েছেন দুই দলের বোলাররা। একে মৃত্যুকূপ না বললে আর কাকে বলা যায়!!
দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো ৩৬ পিছিয়ে রয়েছে। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ইন্ডিয়া সিরিজ শুরু করে।