সৌম্য সরকার যখন নিউজিল্যান্ডের স্যাক্সটন ওভালের নেলসনের মাঠে ১৬৯ রানের ইনিংসটি খেলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের দিকে যাচ্ছিলেন তখন তার এই ইনিংসটি নিয়ে যেমন অনেক চর্চা হবে আবার অনেক আক্ষেপও কাজ করবে।কে বলবে এই ক্রিকেটারেরই দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে ছিল তুমুল বিতর্ক।
বাংলাদেশ দলে সৌম্য সরকার নিজেকে স্থায়ী করতে পারছেন না।তাকে দলে নেয়া নিয়ে কোচ হাথুরুসিংহ এবং নির্বাচক প্যানেলকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ মূল ধারার গণমাধ্যমের কাছে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে।নিজের প্রিয় শিষ্যকে হাথুরুসিংহে সব সময় যেভাবে আগলে রেখেছে এমন শিষ্য প্রেম তার থেকে আর কারও প্রতি দেখা যায় না।ম্যাচ শুর হওয়ার আগের দিনও কোচকে সৌম্যর দলে থাকা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।সৌম্য গুরুর মান রেখেছেন।বাংলাদেশ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার ইনিংসটি বাংলাদেশ তথা এশিয়ান কোন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস।
যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সৌম্যের ক্যারিয়ারে গত ১৪ ইনিংসে মোট রান ছিল ২২৭ তিনিই আজ ১৬৯ রান করে বাংলাদেশের পক্ষে কোন ব্যাটারের দ্রুততম ২০০০ রান স্পর্শ করার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন।শাইরিয়ার নাফিস ও লিটন দাস ৬৫ ইনিংসে যে কীর্তি গড়েছিলেন তা ভাঙার জন্য সৌম্যের হাতে রয়েছে আরও ৩ ইনিংস।
মাত্র ৭ রানের জন্য সৌম্য টপকাতে পারেননি বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের লিটন দাসের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা ১৭৬ রানের স্কোরটি।ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য ৬১ ইনিংসে ৩৩.৪০ গড়ে করেছেন ১৯৩৭ রান।সাথে আছে ৩ টি শতক ও ১১ টি অর্ধ-শতক।
সৌম্য সরকারের ট্যালেন্ট নিয়ে কখনই কোন প্রশ্ন ছিল না।অন্যান্য বাংলাদেশি ব্যাটরদের মতো তারও মূল সমস্য ধারাবাহিকতা না থাকা।সৌম্যের বয়স এখন ৩০।তাকে ঘুরে দাড়াতেই হবে।তার নিজের জন্য তো বটেই আদতে লাভ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।